ফটোসোর্স-epicsermons.com
(প্রিয়.কম) প্রতিদিন পৃথিবীতে রচিত হচ্ছে হাজার হাজার নতুন লেখা। কিন্তু এত লেখার ভেতরে কখনো কি আপনার জানতে ইচ্ছে করেছে সেই লেখাটির নাম যেটি কিনা প্রথম লেখা হয়েছিল? সত্যি করে বলতে গেলে আদিম পৃথিবীতে লিখিত সেই প্রথম লেখাটিকে হয়তো খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়, কিন্তু এখন পর্যন্ত মানুষের খুঁজে পাওয়া পৃথিবীর প্রাচীন লেখাগুলোকে তো আমরা একবার দেখে নিতেই পরি। জানতে চান পৃথিবীর সেই প্রাচীন লেখাগুলোর নাম? চলুন জেনে আসি।
৪. বেহিস্তান ইনস্ক্রিপশন
ভাষা- পুরোন পারসিয়ান
নৃ-তত্ত্ববিদদের কাছে মিশরীয় হায়ারোগ্লিফিকের মতনই অত্যন্ত মূল্যবান মাউন্ট বিসোটোনের চূড়ায় পাথরে খোদাইকৃত পুরোন পারসিয়ান ভাষায় লেখা এই বেহিস্তান ইনস্ক্রিপশন। ৫২২ খ্রিষ্টপূর্বে এই লেখাটি লেখেন দারিয়ুস দি গ্রেট। মাত্র একশ বছর টিকে থাকা এই ভাষা খুব দ্রুতই সময়ের বিবর্তনে হারিয়ে যায়। একটু একটু করে এই ভাষার সারাংশটুকুর কিছুটা আর পরিবর্তনের অনেকটা নিয়ে গড়ে ওঠে পরবর্তী ভাষাগুলো। বর্তমান ফার্সি ভাষার সূত্র এই ভাষা থেকেই বলে মনে করেন অনেকে।
৫. ইনস্ট্রাকশন অব শারুপ্পাক
ভাষা- সুমেরিয়ান
সুমেরিয় সভ্যতার মেধা ও মননের পরিচায়ক এই ইনস্ট্রাকশন অব শারুপ্পাকে সুশীল জীবন ও স্রষ্টা সম্পর্কে বলা হয়েছে। মনে করা হয়, এক রাজা এই লেখাটি তার সন্তানকে লিখেছিলেন। অনেকগুলো উপদেশ রয়েছে এই লেখাটিতে। যদিও সঠিক সময়কাল বলা যায়না, তবে মনে করা হয় যে এই লেখাটির উত্পত্তি হয়েছিল ২৫০০ খ্রিষ্টপূর্বে। সেসময় এই লেখাটি সুমেরিয় সভ্যতার মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয় পাঠ্য ছিল বলে মনে করা হয়। কারণ কেবল একটি নয়, বেশকিছু এমন ইনস্ট্রাকশন অব শারুপ্পাক পাওয়া যায় একই স্থান থেকে।
৬. ইবলা ট্যাবলেট
ভাষা- ইবলাইটি
সিরিয়ার ইবলা শহরে পাওয়া এই ইবলা ট্যাবলেটগুলোর পরিমাণ প্রায় ১১ হাজারেরও বেশি। আর সেগুলো পাওয়া গিয়েছিল একেবারে যথাস্থানেই। ১৯৫০ সালে ইতালিয়ান নৃ-তত্ত্ববিদ পাবলো ম্যাথিয়াই সর্বপ্রথম এই ট্যাবলেটগুলোর খোঁজ পান। পৃথিবীর সর্বপ্রথম ব্যবহৃত ভাষাগুলোর ভেতরে দুই বা তিন নম্বর স্থানে ফেলে থাকেন গবেষকেরা ইবলাইটিকে। যদিও এই ভাষা আর ভাষার অর্থ নিয়ে বেশ বিতর্ক রয়েছে, তবে পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন ভাষা হিসেবে সবার কাছেই বেশ সমাদৃত ইবলা ট্যাবলেটগুলো।
৭. গিজার ক্যালেন্ডার
ভাষা- হিব্রু
বর্তমানে আমরা যেমন ক্যালেন্ডার বা দিনপঞ্জিকা ব্যবহার করে থাকি গিজার ক্যালেন্ডার ঠিক তেমনটা নয়। তবে ক্যালেন্ডার হিসেবে নয়, হিব্রু ভাষার প্রাচীন নিদর্শন হিসেবে সবার কাছে বেশ দামী হয়ে রয়েছে এই লেখাগুলো। কৃষিসংক্রান্ত সময়কাল নিয়ে লেখা এই ক্যালেন্ডারটি তৈরি করা হয় আনুমানিক ১০ বিসিতে। ১৯০৮ সালে আর. এস. ম্যাকালিস্টার গিজার পুরাতন ক্যানানিট শহর থেকে এই ক্যালেন্ডারটি উদ্ধার করেন। তবে এখনো পর্যন্ত এটি তৈরির উদ্দেশ্য বের করা যায়নি।
লিখেছেন-
সাদিয়া ইসলাম বৃষ্টি
ফিচার রাইটার, প্রিয়লাইফ
প্রিয়.কম
পাঠকের মন্তব্য(০)
মন্তব্য করতে লগইন করুন